বাদল সৈয়দের ২টি থ্রিলার (কালো সিংহ ও বুড়ো নদীটির পায়ের কাছে)

কালো সিংহ

দুনিয়ার সবার চোখের আড়ালে লুকিয়ে থাকা পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গিনি বিসাউ হঠাৎ লাইমলাইটে চলে এলো। কারণ, মাটির নিচে আবিষ্কৃত ইউরেনিয়াম-২৩৫, যা আণবিক বোমা বানানোয় ব্যবহৃত হয়। সাথে সাথে পরাশক্তিগুলো দেশটির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠল। তাদের সব চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন আফ্রিকার ‘কালো সিংহ’ নামে পরিচিত দেশটির বৃদ্ধ প্রেসিডেন্ট মারফি কাউন্ডি। ঘটনাচক্রে তার সাথে যোগ দিলেন বাংলাদেশের আশরাফ হাসান। শুরু হলো যড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা, গুপ্তহত্যা, একের পর এক নতুন ক্লাইমেক্স। মারফি কাউন্ডি কি শেষ পর্যন্ত পারবেন মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে?

বুড়ো নদীটির পায়ের কাছে

বাংলাদেশের তরুণ নাদিম যুগান্তকারী একটি আবিষ্কার করেছে। বিখ্যাত বিজ্ঞানী অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম তা পৌঁছে দিলেন স্টিফেন হকিংয়ের কাছে। কদিন পর অধ্যাপক ইসলাম চট্টগ্রামের একটি হাসপাতাল মারা গেলেন। তারপর হকিংয়ের অজান্তে এ আবিষ্কারের দখল নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হলো কর্পোরেট দুনিয়ায়। শুরু হলো খুনোখুনি, রক্তপাত …।

নাদিমের আবিষ্কার এবং কর্পোরেট এসপিওনাজ ও স্বার্থপরতা নিয়ে এ থ্রিলারে যে টানটান উত্তেজনা, তার ভেতরে আবর্তিত হচ্ছে দুটো প্রশ্ন : নাদিমের জীবন কি রক্ষা পাবে? তার আবিষ্কারটির কী হবে? এটি এক জটিল ‘ধাঁধা’।

লেখক পরিচিতি

বাদল সৈয়দ : জন্ম ১৯৬৮। সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ লেখেন বাদল সৈয়দ নামে। পেশা চাকরি। প্রকাশিত বইÑউপন্যাস : জন্মজয়, জলের উৎস, আমার মুক্তি ওই আকাশে। মৌলিক থ্রিলার : ছায়াসন্ধান, বুড়ো নদীটির পায়ের কাছে। গল্পগ্রন্থ : অলৌকিক আঙুল, মাটির পিঞ্জিরার মাঝে, সাক্ষী ছিল পক্ষী সকল। মোটিভেশনাল বই : দ্বিতীয় যৌবন, স্বপ্নডানা, রোজাবেল মা তোকে বলছি, আমার বিশ্বাসগুলো, সাধুসঙ্গ ১ ও সাধুসঙ্গ ২। পে ইট ফরোয়ার্ড, প্যারেন্টস লাউঞ্জ, মার্চ ফরোয়ার্ড, অনেস্ট–এসব সামাজিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা কর্মী। প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এসব প্রতিষ্ঠানের সুবিধা পাচ্ছে।