যদি আপনার ক্ষমতা থাকে, শেখার কি প্রয়োজন? মূলত: স্থির চিন্তাধারার মানুষেরা কোনকিছু শেখার আগেই ক্ষমতা দেখাতে চায়। সর্বোপরি, আপনার ক্ষমতা থাকলে থাকল, না থাকলে নেই। এমনটি আমি সবসময় দেখি। পৃথিবীর নানা স্থান থেকে আসা আবেদনপত্রের মধ্য থেকে কলাম্বিয়ায় আমার ডিপার্টমেন্টে প্রতিবছর মাত্র ছয়জন নতুন গ্রাজুয়েট ছাত্র ভর্তি নেয়া হয়। তাদের টেষ্ট স্কোর দারুণ, অনেকটা যথার্থ গ্রেডের কাছাকাছি এবং প্রখ্যাত স্কলারদের সুপারিশ নিয়ে তারা আসে। সর্বোপরি তারা সেরা গ্রেডের স্কুল পার হয়ে আসে।
নিজেদেরকে সম্পূর্ণরূপে প্রতারক ভাবতে এদের কয়েকজনের মাত্র একদিন সময় লাগে। গতকাল তারা ছিল প্রতিভাবান, আজ তারা ব্যর্থ। আসলে সেটা হয়। তারা ফ্যাকাল্টিতে পাবলিকেশনের লম্বা তালিকা দেখে, “ও মাই গড! আমি এসব পারবো না।” তারা অগ্রগামী ছাত্রদের দেখে যারা প্রকাশের জন্য আর্টিকেল দেয় ও নানারকম প্রস্তাব পেশ করে। “ও মাই গড! আমি এসব পারবো না।” কিভাবে পরীক্ষা নেয়া হয় ও এ দেয়া হয়, তারা জানে, কিন্তু তারা জানে না কিভাবে এটা পেতে হয় তবু। তারা এই তবুকে ভুলে যায়।
এজন্যই কি স্কুল নয়, শেখানোর জন্য? ছাত্ররা শেখার জন্য এখানে আসে, আগে থেকে শেখা বলে নয়।
আমি ভাবি যদি এমনটি হত, তবে জ্যানেট কুক ও স্টিভেন গ্লাস এর কি হত। এরা দুজনই তরুণ রিপোর্টার ছিল যারা মিথ্যা কাহিনীর আর্টিক্যাল লেখায় সেরা ছিল। আট বছর বয়সী এক মাদকাসক্ত ছেলের ব্যাপারে ওয়াশিংটন পোষ্টে আর্টিক্যাল ছাপিয়ে সে পুলিৎজার প্রাইজ পেয়েছিল। ছেলেটির কোন অস্তিত্ব ছিল না ও পরবর্তীতে তার পুরস্কার ফেরত নেয়া হয়েছিল। স্টিভেন গ্লাস ছিল দ্য নিউ রিপাবলিকে ধাবমান রিপোর্টার, যে নানারকম গল্প ও খবরের সূত্র যেন স্বপ্নের মধ্যে পেত। সূত্রগুলোর অস্তিত্ব ছিল না আর গল্পগুলো সত্যি ছিল না।
জ্যানেট কুক ও স্টিভেন গ্লাসের কি যথার্থ হওয়া তখনই প্রয়োজন ছিল? তারা কি মনে করত সে অজ্ঞতা স্বীকার করলে সহকর্মীদের কাছে ছোট হয়ে যাবে? তারা কি মনে করেছে যে কাজ শেখার আগেই তাদেরকে বিখ্যাত রিপোর্টারের মতই হতে হবে? স্টিভেন গ্লাস লিখেছে, “আমরা স্টার ছিলাম, অকালপক্ক স্টার আর সেটারই প্রয়োজন ছিল।” লোকজন বুঝল যে তারা প্রতারক, তারা প্রতারণা করেছে। কিন্তু আমি তাদেরকে বেপরোয়া তরুণ বলে মনে করি যারা স্থির চিন্তাধারার ফসল।
১৯৬০’এ একটি প্রচলিত বাক্য ছিল, “হওয়ার চেয়ে হতে চাওয়া অনেক ভাল।” স্থির চিন্তাধারার মানুষ হতে চাওয়ায় আনন্দ পেতে চায় না। তারা হয়েই যায়।
Reviews
There are no reviews yet.